নতুন আইডি কার্ড করার নিয়ম ২০২৪ | NID Card

আপনি বাংলাদেশের নাগরিক হলে এবং আপনার ১৬ বছর বয়স হয়ে থাকলে অনলাইনে বা সরাসরি উপজেলা থেকে নতুন ভোটার আইডি কার্ড (NID Card) করতে পারবেন।

এত বয়স্ক সকল নাগরিকের জন্যই এই ভোটার আইডি কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক। এই জাতীয় পরিচয় পত্রটি না থাকলে, একজন ব্যক্তি দেশের নাগরিক হয়েও সামগ্রিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। ভোটার আইডি কার্ডের আবেদন প্রক্রিয়া এখন অনলাইন ভিত্তিক হওয়ায়, আপনি ঘরে বসেই NID Card এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।

তাই সঠিক নিয়মে নতুন আইডি কার্ড করার বিস্তারিত আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিন এই লেখা থেকে।

একনজরে আলোচনার সূচীপত্র

নতুন এন আইডি কার্ড করার নিয়ম

নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার জন্য, nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘আবেদন করুন’ অপশনে গিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলুন। তারপর প্রোফাইল অপশনে গিয়ে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, অন্যান্য তথ্য ও ঠিকানা পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজাদি জমা দিয়ে আবেদন সাবমিট করুন। 

তারপর সেই আবেদন কপি প্রিন্ট করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসহ উপজেলা নির্বাচন অফিসে জমা দিন। আবেদনের তথ্য যাচাইয়ের পর নির্বাচন অফিসে বায়োমেট্রিকের জন্য ডাকা হলে ছবি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও চোখের রেটিনা স্ক্যান করবে।

এসকল তথ্য Higher Authority (কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন) – তে পাঠানো হলে ১৫ দিনের মধ্যে আপনার এনআইডি কার্ড তৈরি হয়ে যাবে। এবং NID Card এর অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।

Online NID Card BD করার উপায় কি কি?

বর্তমানে ভোটার আইডি কার্ডের যোগ্যতা পূরণ করলে একজন ব্যক্তি ২ ভাবে আবেদন করতে পারবে। যথা:

  • অনলাইনে NIDW ওয়েবসাইটে।
  • উপজেলা নির্বাচন অফিসে সরাসরি আবেদন।

এছাড়াও সরকারিভাবে ভোটার হালনাগাদ শুরু হলেও পরিচয় এন্ট্রি করে আবেদন করতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার নিয়ম ২০২৪

নতুন ভোটারের জন্য আবেদন করার যোগ্যতা

নতুন ভোটারের জন্য আবেদনকারী প্রার্থীকে অবশ্যই- 

  • বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
  • সর্বনিম্ন ১৬ বছর বা তার বেশি বয়সী হতে হবে।
  • পূর্বে জাতীয় পরিচয় পত্র নিবন্ধন হয়নি এমন ব্যক্তি।

এসকল যোগ্যতা পূরণ করলে একজন ব্যক্তি অনলাইনে বা সরাসরি নির্বাচন কমিশন অফিসে আবেদন করতে পারবে।

নতুন এন আইডি কার্ড করতে কি কি লাগে

নতুন NID Card এর জন্য আবেদনে সংযুক্ত করতে এবং বায়োমেট্রিক সম্পন্ন করতে বেশ কিছু ডকুমেন্টস প্রয়োজন হয়। এগুলো হলো:

  • অনলাইনে আবেদন করলে আবেদন পত্রের প্রিন্ট কপি। সরাসরি আবেদন করলে নির্বাচন কমিশন অফিসে পূরণকৃত আবেদন ফরম।
  • অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ।
  • বাবা, মা, স্বামী/ স্ত্রীর জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি।
  • নাগরিকত্ব সনদ বা চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট।
  • PECE/ JSC/ SSC অথবা সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট।
  • পাসপোর্ট/ ড্রাইভিং লাইসেন্স (বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট না থাকলে)
  • ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ইত্যাদি), অথবা হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ।
  • রক্তের গ্রুপ টেস্টের রিপোর্ট।
  • নতুন ভোটার হওয়ার অঙ্গীকারনামা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
  • একটি সচল মোবাইল নাম্বার।

এছাড়াও আইডি কার্ডে পেশা যুক্ত করতে চাইলে কর্মরত প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়ন কিংবা এমপ্লয়ার আইডি (Employer ID) প্রয়োজন হতে পারে। তাছাড়া বয়স বেশি হলে নাগরিকত্ব ও অন্যান্য বিষয়ে যাচাইয়ের ক্ষেত্রে বাড়তি ডকুমেন্টস চাইতে পারে নির্বাচন কমিশন অফিস।

আরও পড়ুনঃ নতুন ভোটার নিবন্ধন করতে কি কি লাগে ২০২৪

অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম

নতুন ভোটার হতে অনলাইনে আবেদন করার জন্য প্রথমেই ভিজিট করুন, nidw.gov.bd – এই লিংকে। এবার বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ওপেন হবে। তারপর NID Card এর আবেদন সম্পন্ন করার জন্য ধারাবাহিকভাবে নিচের ছবিসহ দেখানো ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

ধাপ ১: NIDW ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করুন

আপনার সামনে আশা ওয়েবপেজ থেকে – “নতুন নিবন্ধনের জন্য আবেদন” এই অপশনে ‘আবেদন করুন’ লেখাতে ক্লিক করুন। 

নতুন ভোটার আইডি কার্ড

(১) নিবন্ধনের তথ্য দিন

এবার অ্যাকাউন্ট নিবন্ধনের জন্য একটি নিবন্ধন ফরম সমৃদ্ধ পেজ আসবে। এখানে ধারাবাহিকভাবে-

  • ইংরেজিতে আপনার সম্পূর্ণ নাম লিখুন।
  • জন্ম তারিখ পূরণ করুন (দিন/ মাস/ বছর- ফরম্যাটে।
  • নিচের ছবিতে ৬ সংখ্যার একটি যাচাইকরণ কোড পাবেন। সর্বশেষ ঘরে কোডটি সঠিকভাবে পূরণ করুন।

(এখানে দেওয়া, ইংরেজিতে আপনার সম্পূর্ণ নাম এবং জন্ম তারিখটি Online NID Card BD তে যুক্ত হবে। পরবর্তীতে এই অ্যাকাউন্ট থেকে তা পরিবর্তন করতে পারবেন না। তাই সঠিক তথ্য দিন)

এবার ‘বহাল’ বাটনে ক্লিক করে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার পরবর্তী পেজে যান।

এনআইডি কার্ড করার নিয়ম

(২) মোবাইল নাম্বার ভেরিফাই

এই ধাপে, আপনার একটি সচল মোবাইল নাম্বার লিখুন। তারপর ‘বার্তা পাঠান’ অপশনে ক্লিক করুন। আপনার দেওয়া মোবাইল নাম্বারে ৬ সংখ্যার একটি ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হবে। পরবর্তী পেজে সেই কোডটি লিখে ‘বহাল’ বাটনে ক্লিক করুন। ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে নিবন্ধনের সর্বশেষ ধাপে নিয়ে যাওয়া হবে।

(৩) ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড প্রদান

আপনার রেজিস্টাকৃত অ্যাকাউন্ট পুনরায় ব্যবহারের জন্য একটি ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড লিখুন। আপনার দেওয়া ইউজার নেম অবশ্যই ইউনিক হতে হবে। পাসওয়ার্ডের ক্ষেত্রে কঠিন/ শক্তিশালী এবং সহজে মনে রাখতে পারবেন এমন পাসওয়ার্ড দিন। এবং কনফার্ম করতে নিচের ঘরে পুনরায় পাসওয়ার্ড লিখুন।

নতুন ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন আবেদন

তথ্যপ্রদান সম্পন্ন হলে ‘বহাল’ বাটনে ক্লিক করুন। ব্যাস, আপনার নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। পরবর্তীতে এই ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে NIDW ওয়েবসাইটে লগইন করতে পারবেন।  

ধাপ ২: প্রোফাইল সম্পাদনা

নিবন্ধন সম্পন্ন করার পর কিংবা পরবর্তীতে লগইন করলে আপনার একটি ব্যক্তিগত ড্যাশবোর্ড দেখতে পাবেন। এখান থেকে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। তার জন্য উপরের ‘প্রোফাইল’ অপশনে ক্লিক করুন।

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন

পরবর্তী পেজে একজন NID Card নিবন্ধনকারীর বিস্তারিত প্রোফাইল দেখতে পাবেন। এখানে আপনার-

  • ব্যক্তিগত তথ্য পূরণ।
  • অন্যান্য তথ্য (শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা ইত্যাদি) তথ্য পূরণ।
  • বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানার তথ্য পূরণ।

এসকল তথ্য পূরণের পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে আবেদন নিশ্চিত করতে হয়। তথ্য পূরণের জন্য উপরের ডান পাশের ‘এডিট’ অপশনে ক্লিক করুন। তারপর প্রতিটি তথ্য পূরণের জন্য আলাদা আলাদা ঘর আসবে।

ভোটার আইডি কার্ড আবেদন অনলাইন

ধাপ ৩: ব্যক্তিগত তথ্যপূরণ

নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে আবেদনকারীকে নিজের সম্পূর্ণ তথ্য, পিতা-মাতার তথ্য, অভিভাবকের তথ্য ও বৈবাহিক অবস্থার তথ্য পূরণ করতে হয়। তথ্যপূর্ণ ক্ষেত্রে যে সকল ঘরগুলো লাল (*) চিহ্নিত সেগুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে।

(১) আবেদনকারীর তথ্য পূরণ 

আপনার একান্ত ব্যক্তিগত তথ্যাদি পূরণ করুন। এক্ষেত্রে-

  • বাংলায় আপনার সম্পূর্ণ নাম;
  • জন্ম নিবন্ধন নম্বর;
  • লিঙ্গ;
  • রক্তের গ্রুপ;
  • জন্মস্থান;
  • জাতীয়তা ইত্যাদি তথ্য পূরণ করতে হবে।

ইংরেজিতে আবেদনকারীর সম্পূর্ণ নাম এবং জন্মতারিখ পূরণ করতে হবেনা। অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন এর সময় দেওয়া ইংরেজি নাম ও জন্মতারিখ ডিফল্টভাবে সিস্টেমে সংরক্ষিত থাকবে। 

অনলাইন এনআইডি কার্ডের জন্য আবেদনের তথ্য পূরন

(২) পিতার মাতার তথ্য পূরণ 

Online NID Card BD করতে আপনার পিতার পরিচয়বাচক তথ্যগুলো দিতে হবে। যথা:

  • পিতার নাম বাংলা ও ইংরেজিতে।
  • পিতার এনআইডি নাম্বার (ঐচ্ছিক)
  • পিতার ভোটার নাম্বার (ঐচ্ছিক)
  • মৃত্যুর সন (মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)

আবেদনকারীর পিতা মৃত্যুবরণ করলে, পিতার তথ্য অপশনের ডান পাশের ‘মৃত’ লেখায় ক্লিক করুন। তারপর মৃত্যুর সন পূরণ করুন। 

পিতার তথ্যের অনুরূপভাবে আবেদনকারীর মাতার তথ্য পূরণ করুন। মাতার নাম বাংলা ও ইংরেজিতে (আবশ্যক), এনআইডি নম্বর ও ভোটার নম্বর (ঐচ্ছিক) পূরণ করুন। মাতা মৃত্যুবরণ করলে ‘মৃত’ অপশনে ক্লিক করে মৃত্যুর সন লিখুন।

(৩) বড় ভাই/বোনের তথ্য পূরণ 

এক্ষেত্রে অভিভাবকের তথ্য হিসেবে আবেদনকারীর বড় ভাই/বড় বোনের নাম বাংলায় ও এনআইডি নম্বর লিখুন। নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার ক্ষেত্রে এই ধাপটি অপশনাল। তবে তথ্য সংযুক্ত করতে পারেন। জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ও ওয়ারিশ সনদ তৈরিতেও এই তথ্য পরোক্ষভাবে প্রয়োজন হতে পারে।

অনলাইনে নতুন ভোটার তথ্য প্রদান - বৈবাহিক অবস্থার তথ্য প্রদান

(৪) বৈবাহিক তথ্য পূরণ|Online NID Card BD

ব্যক্তিগত তথ্যের সর্বশেষ ধাপে, আবেদনকারীর বৈবাহিক অবস্থা তথ্য দিতে হয়। প্রথমে, ‘বৈবাহিক অবস্থা’ অপশনের ডানপাশের ড্রপডাউন মেন্যুতে ক্লিক করে আপনি – বিবাহিত, অবিবাহিত থেকে একটি তথ্য সিলেক্ট করুন।

বিবাহিত হলে-

  • স্বামী/স্ত্রীর নাম,
  • স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি নম্বর লিখুন।

স্বামী/স্ত্রী মৃত্যুবরণ করলে মৃত্যুর সন লিখুন। এখানে, ধারাবাহিকভাবে ৪ জন চারজনের তথ্যপূরণ করতে পারবেন।

নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার সকল ব্যক্তিগত তথ্য পূরণের পর, উপরের ডান পাশের ‘পরবর্তী’ বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ ৪: অন্যান্য তথ্য পূরণ

এই ধাপে, আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা, ধর্ম ও অন্যান্য তথ্য পূরণ করতে হয়। ফরমের লাল (*) চিহ্নিত ঘরগুলো পূরণ করা বাধ্যতামূলক। তাছাড়াও অন্যান্য তথ্য পূরণ করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে-

  • সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতা বাংলায় পূরণ করুন। (আবশ্যক *)
  • বর্তমান পেশা সিলেক্ট করুন। (আবশ্যক *)
  • অসমর্থতা অপশনে, কোন প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা সিলেক্ট করুন।
  • জন্মগত সনাক্তকরণ চিহ্ন শরীরে থাকলে তা বিশ্লেষণ করে লিখুন।
  • আপনার টিন সার্টিফিকেট নম্বর। (যদি থাকে)
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর। (যদি থাকে)
  • পাসপোর্ট নম্বর। (যদি থাকে)
  • আবেদনকারীর ধর্ম। (আবশ্যক *)
  • টেলিফোন নম্বর। (যদি থাকে)

অ্যাকাউন্ট নিবন্ধনের সময় দেওয়া আপনার মোবাইল নম্বর এখানে ডিফল্টভাবে থাকবে। সকল তথ্য পূরণের পর উপরের ডানপাশে ‘পরবর্তী’ বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ ৫: ঠিকানার তথ্য প্রদান

নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে, আপনার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানার তথ্য দিতে হবে। তাছাড়া আপনি যে এলাকায় ভোটার হতে চান তা নির্বাচন করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা ভিন্ন হলে যে ঠিকানায় ভোটার হতে চাচ্ছেন তা সিলেক্ট করতে হবে। পরবর্তীতে আপনার নির্বাচন করা স্থানেই ভোট দিতে পারবেন। 

ঠিকানার তথ্যের প্রথমে অবস্থানরত দেশের নাম অপশনে ‘বাংলাদেশ’ সিলেক্ট করুন। তারপর বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা পূরণ করুন।

বর্তমান ঠিকানার তথ্য|NID Card Bangladesh

আপনি বর্তমানে যেই এলাকায় অবস্থানরত আছেন তা বর্তমান ঠিকানার তথ্যফরমে পূরণ করুন। এখানে আপনার বর্তমান ঠিকানা যদি পরিবর্তনশীল হয়, তাহলে এখানে স্থায়ী ঠিকানার তথ্যও লিপিবদ্ধ করতে পারেন। বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা একই হওয়া স্বাভাবিক বিষয়, এতে কোন জটিলতা সৃষ্টি হবেনা। 

নতুন ভোটার আইডি কার্ডের বর্তমান ঠিকানার তথ্যে আপনার- 

  • বিভাগ;
  • জেলা;
  • উপজেলা;
  • আর.এম.ও;
  • সিটি কর্পোরেশন অথবা পৌরসভার আওতাধীন হলে তার তথ্য;
  • ইউনিয়ন;
  • মৌজা;
  • ইউনিয়নের ওয়ার্ড নম্বর;
  • গ্রাম/ রাস্তা;
  • বাসা/ হোল্ডিং;
  • পোস্ট অফিস;
  • পোস্ট কোড, এসকল তথ্য পূরণ করুন।

বর্তমান ঠিকানায় ভোটার হতে চাইলে, উপরের ‘এই ঠিকানায় ভোটার’ অপশনের পাশে থাকা চেকবক্সে ক্লিক করুন। তারপর ‘ভোটার এরিয়া সিলেক্ট করুন’। তবে স্থায়ী ঠিকানায় ভোটার হওয়া সর্বোত্তম।

স্থায়ী ঠিকানার তথ্য

নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে, বর্তমান ঠিকানার মতোই আপনার স্থায়ী ঠিকানার তথ্য পূরণ করুন। সকল তথ্য পূরণের পর ‘এই ঠিকানায় ভোটার’ অপশনে ক্লিক করে ‘ভোটার এরিয়া সিলেক্ট করুন’। 

এবার আপনার দেওয়া সকল তথ্য যাচাই করে ‘পরবর্তী’ অপশনে যান। 

ধাপ ৬: কাগজপত্র সংযুক্ত করুন

সাধারণত বর্তমানে অনলাইনে ভোটার আবেদন করার জন্য কোন কাগজপত্র আপলোড করতে হয়না। এখান থেকে ‘সাবমিট’ অপশনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে যান।

ধাপ ৭: NID Card আবেদন সাবমিট করুন

সর্বশেষ এই ধাপে আবেদন নিশ্চিত করে সাবমিট করুন। ফাইনাল সাবমিশনের পূর্বে, আপনার প্রদানকৃত কোন তথ্য ভুল মনে হলে, ‘পেছনে’ বাটনে ক্লিক করে তা এডিট করুন। সবকিছু ঠিক থাকলে পুনরায় সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন। 

ব্যাস, আপনার নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়মে আবেদন সম্পন্ন হয়েছে। 

ধাপ ৮: নতুন ভোটার আবেদন ফরমের কপি

নতুন ভোটার হবার অনলাইন আবেদন সাবমিট হলে, একটি সামারি পেজ বা ভোটার আবেদন কপি দেখতে পাবেন। নিচের ডাউনলোড করার অপশন থেকে NID card আবেদনের কপিটি ডাউনলোড করুন। অথবা পরবর্তীতে ওয়েবসাইটে লগইন করে ড্যাশবোর্ড থেকেও ডাউনলোড করতে পারবেন। 

আবেদন কপিটি প্রিন্ট করে প্রিন্ট কপি সহ অন্যান্য ডকুমেন্টস উপজেলা নির্বাচন অফিসে জমা দিন। আপনার এসকল তথ্য নির্বাচন অফিস থেকে যাচাই করে, সবকিছু ঠিক থাকলে বায়োমেট্রিকের জন্য ডাকা হবে।

আরও পড়ুনঃ ভোটার আইডি কার্ডের ছবি পরিবর্তন করুন নিজেই

ধাপ ৯: উপজেলা নির্বাচন অফিসে বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান 

অনলাইন আবেদনের সময় দেওয়া আপনার মোবাইল নাম্বারে মেসেজের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচন অফিসে ডাকা হবে। সেখানে বায়োমেট্রিক তথ্য হিসেবে আবেদনকারীর-

  • ছবি, 
  • ফিঙ্গারপ্রিন্ট,
  • আই স্ক্যান করা হবে।

তারপর নির্বাচন হাইকমিশনে সকল তথ্য প্রেরণ করা হবে। আবেদনের ১৫ দিনের মধ্যে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।

নির্বাচন কমিশন অফিসে ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন

অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণের ঝামেলা এড়াতে সরাসরি উপজেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে পারেন। সেজন্য নির্বাচন অফিসে উপস্থিত হয়ে ‘ভোটার নিবন্ধন ফরম ২’ সংগ্রহ করুন। তারপর তো সঠিকভাবে পূরণ করে অন্যান্য কাগজপত্র সংযুক্ত করে আবেদন জমা দিন। 

তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের পর কর্তৃপক্ষ আপনাকে বায়োমেট্রিকের জন্য ডাকবেন।

ভোটার তথ্য হালনাগাদের সময় নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম

নির্দিষ্ট সময় পর পর সারাদেশে ভোটার তথ্য হালনাগাদ করা হয়। এ সময় নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা প্রতি এলাকায় নতুন ভোটার হওয়ার উপযুক্তদের তালিকা করবেন। নতুন ভোটার হতে তথ্য হালনাগাদের সময় নিজের পরিচয় এন্ট্রি করে। তারপর উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে যথানিয়মে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে।

ভোটার আইডি কার্ড পেতে কতদিন লাগে

সঠিকভাবে আবেদন দাখিল ও বায়োমেট্রিক প্রদানের পর উপজেলা নির্বাচন অফিসার অনুমোদন দেয়। তারপর তা Higher Authority – তবে পাঠানো হয়। সেই তথ্য বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে আপলোড করা হয়। এর জন্য সাধারণত ৫-৭ কার্যদিবস সময় লাগে। 

আরও পড়ুনঃ ভোটার আইডি কার্ড চেক ২০২৪ | NID Card Check

কাজ সম্পন্ন হলে আপনার মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে NID Number জানানো হবে। সাধারণত নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়মে ১৫-২০ দিনের মধ্যেই আপনার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।

ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ

ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করার জন্য, nidw.gov.bd – ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। রেজিস্টার অপশনে ক্লিক করে NID Card নম্বর/ফর্ম নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে ক্যাপচা পূরণ করে সাবমিট করুন। 

তারপর বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানায় তথ্য দিয়ে আপনার মোবাইল নাম্বার ভেরিফাই করুন। এবার মোবাইলে NID Wallet এপ্স এর মাধ্যমে ফেস ভেরিফাই করে পাসওয়ার্ড সেট করুন। এবার এনআইডি কার্ডের ব্যক্তিগত ড্যাশবোর্ড ওপেন হলে ডাউনলোড অপশন থেকে ভোটার আইডি কার্ডটি সংগ্রহ করতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড ২০২৪ | NID Card Download।

এছাড়াও নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়মানুসারে, অনলাইনে আবেদনের সময় তৈরি করা প্রোফাইলে লগইন করেও ডাউনলোড করতে পারবেন।

শেষকথা 

ভোটার আইডি কার্ড একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির নাগরিক অধিকার। উপরোক্ত নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়মে বিনা খরচে আপনার Online NID Card BD করতে পারবেন। অনলাইনে আবেদনের সময় নামের বানান ও সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে আবেদন করুন।

FAQ’s

নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন কবে থেকে চালু হবে? 

বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন থেকে প্রতি ৪ বছর পর পর ভোটার তথ্য হালনাগাদ করা হয়। এসময় সামগ্রিকভাবে সকল প্রাপ্তবয়স্করা নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে পারে। তবে এছাড়াও আপনি চাইলে সারাবছর ব্যাপী উপজেলা নির্বাচন অফিসে কিংবা অনলাইনে আবেদন করে আইডি কার্ড করতে পারবেন।

নতুন ভোটার অঙ্গীকার নামা কেন প্রয়োজন?

নতুন ভোটারের বয়স বেশি হলে নির্বাচন কমিশন একটি অঙ্গীকারনামা চেয়ে থাকে। এতে উল্লেখিত থাকে তিনি প্রথমবার ভোটার হতে আবেদন করছেন। একাধিকবার ভোটার হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ছবি তোলার কতদিন পর এনআইডি কার্ড পাওয়া যায়?

ছবি তোলা এবং বায়োমেট্রিক সম্পন্ন করার ১৫-২০ কার্য দিবসের মধ্যে এনআইডি কার্ড অনলাইনে পাবেন।

আইডি কার্ড করতে কত টাকা লাগে?

নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে কোন সরকারি ফি নেই/টাকা লাগেনা।

3 thoughts on “নতুন আইডি কার্ড করার নিয়ম ২০২৪ | NID Card”

  1. Pingback: Services nidw gov bd | NID কার্ডের সকল সেবা

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *