১০ সংখ্যার NID থেকে ১৩ ও ১৭ সংখ্যার এনআইডি বের করার নিয়ম

find 13 digit nid number from 10 digit

অনেক সময় আমাদের এন আইডি কার্ডের ১৭ সংখ্যার নাম্বার প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু বর্তমানে আমাদেরকে ১০ সংখ্যার এনআইডি নাম্বার সম্বলিত আইডি কার্ড দেওয়া হয়ে থাকে। তাই কিভাবে ১০ সংখ্যার NID বা স্মার্ট কার্ড থেকে ১৭ সংখ্যার এনআইডি নাম্বার জানতে পারবেন সেই সম্পর্কেই আজকের আলোচনাটি।

মূলত পূর্বের এনআইডি কার্ডগুলোতে ১৭ সংখ্যা বা ১৩ সংখ্যার নাম্বার ছিল। সেই এনআইডি নাম্বার গুলো ব্যবহার করেই অনেকে বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, জমি রেজিস্ট্রি কিংবা অন্যান্য আরো বিভিন্ন কাজ সম্পাদনা করেছিল। বর্তমানে পুরাতন এনআইডি কার্ড জমা নিয়ে নতুন ভাবে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হচ্ছে। এ সময় ভোটারদের কাছ থেকে আগের ১৩/১৭ সংখ্যার আইডি কার্ডটি নিয়ে নেওয়া হয়। 

কিন্তু পরবর্তীতে নানা কারণে আমাদের পূর্বের এনআইডি নাম্বারটি প্রয়োজন হতে পারে। এই আর্টিকেলে সেই পুরাতন ফরম্যাটের এনআইডি নাম্বার বের করার পদ্ধতিটি জেনে নিতে পারেন।

কিভাবে ১৭ সংখ্যার এনআইডি নাম্বার জানতে পারবো

যারা ১০ সংখ্যার এনআইডি কার্ড বা স্মার্ট কার্ড পেয়েছেন তারা অনলাইনে ১৭ সংখ্যার NID Number চেক করে নিতে পারবেন। ১৭ সংখ্যার এনআইডি বের করার জন্য স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পত্রের পিছনে থাকা Bar Code টি স্ক্যান করতে হবে। স্ক্যান করে প্রাপ্ত কোড থেকে <pin> </pin> লেখার মাঝে ১৭ সংখ্যার NID নাম্বারটি দেখতে পাবেন। 

এখান থেকে ১৭ সংখ্যার নাম্বারটি নিয়ে আপনি আপনার পূর্ববর্তী জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার হিসেবে সর্বত্রই ব্যবহার করতে পারবেন। অনলাইনে কেউ যদি আপনার ১৭ সংখ্যার জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বারটি দিয়ে চেক করতে চায়, তাহলে আপনার আইডি কার্ডের তথ্যই আসবে।

কারণ আপনার আইডি কার্ডের ১৭ সংখ্যার নাম্বার/ ১৩ সংখ্যার নাম্বার এবং ১০ সংখ্যার নাম্বার শুধুমাত্র আপনার জন্যই ইউনিক ভাবে জেনারেট করা হয়েছে। প্রতিটি মানুষের জন্যই এসকল নাম্বারগুলো আলাদা আলাদা ভাবে দেওয়া হয়ে থাকে। আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। আপনি যদি না জানেন কিভাবে স্মার্ট কার্ডের বারকোডটি স্ক্যান করতে হবে তাহলে নিচে আরও বিস্তারিতভাবে জেনে নিতে পারেন।

স্মার্ট কার্ড নাম্বার দিয়ে পুরাতন আইডি কার্ড চেক 

যাদের পুরাতন আইডি কার্ড রয়েছে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র গুলো উপজেলা নির্বাচন অফিসে জমা নিয়ে নতুন স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হচ্ছে। তবে অনেকেই স্মার্ট কার্ড পেলেও তাদের পুরাতন আইডি কার্ডের তথ্য জানতে চায়। এক্ষেত্রে আপনার স্মার্ট কার্ড টি ব্যবহার করেই পুরাতন জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার জেনে নেওয়া যাবে। 

এর জন্য সর্বপ্রথম আপনার মোবাইলের গুগল প্লে স্টোরে যাবেন। তারপর Bar Code Scanner লিখে সার্চ করে যেকোনো একটি অ্যাপ ইন্সটল করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি চাইলে মোবাইল অ্যাপস গুলোর রিভিউ দেখে, কোনটি বেশি কার্যকর তা জেনে সঠিক অ্যাপটি ইন্সটল করবেন।

অ্যাপটি ইন্সটল হওয়ার পর তা ওপেন করে ক্যামেরা এক্সেস এর পারমিশন দিবেন। তারপর অ্যাপসের ভিতরে থাকা অবস্থায় মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে আপনার স্মার্ট কার্ডের পেছনের বার কোডটি স্ক্যান করবেন। সঠিকভাবে স্ক্যান করা হলে অ্যাপসের মধ্যেই একটি কোড দেখতে পাবেন। সেই কোডের মধ্যে থাকা <pin> </pin> লেখার মাঝে যেই নাম্বারটি দেখতে পাবেন সেটি আপনার পুরাতন আইডি কার্ডের নাম্বার।

১৩ ডিজিটের এনআইডি নাম্বার বের করার নিয়ম 

মূলত বাংলাদেশের এনআইডি কার্ড গুলোর তিন ধরনের সংখ্যা ছিল। প্রাথমিকভাবে ১৭ সংখ্যার তারপর ১৩ সংখ্যার এবং সর্বশেষে বর্তমানে ১০ সংখ্যার জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার বিতরণ করা হচ্ছে। মধ্যবর্তী সময়ে যাদের ১৩ ডিজিটের আইডি নাম্বার ছিল এবং বর্তমানে ১০ সংখ্যার স্মার্ট কার্ড পেয়েছেন, তারা চাইলে পূর্ববর্তী আইডি কার্ডের তথ্য বের করতে পারবে।

এর জন্য উপরোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করেই একটি Bar code scanner অ্যাপ দিয়ে স্ক্যান করতে হবে। তারপর ১৭ সংখ্যার কোড পাবেন। সেই কোডটি থেকে প্রথমের চারটি সংখ্যা বাদ দিলেই আপনার ১৩ সংখ্যার এনআইডি বের করতে পারবেন।

১৩ ডিজিট থেকে ১৭ ডিজিটের এনআইডি যাচাই

১৩ ডিজিটের এন আইডি কার্ড থাকলে তা দিয়ে ১৭ সংখ্যার nid যাচাই করার জন্য শুধুমাত্র NID Number এর শুরুতে আপনার জন্মসাল যুক্ত করে দিলেই হবে। তাহলে আপনার প্রাপ্ত সংখ্যাটি ১৭ সংখ্যার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর হবে।

ধরা যাক, আপনার ১৩ ডিজিটের জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার হলো 3838585930137। এবং আপনার জন্ম সাল 2005। তাহলে আপনার ১৭ ডিজিটের জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার হবে 20053838585930137। 

এভাবে খুব সহজেই ১০ সংখ্যার এনআইডি নাম্বার ব্যবহার করে ১৩ ও ১৭ সংখ্যার আইডি নাম্বার বের করা যায়। এবং প্রয়োজন অনুসারে সেই পূর্ববর্তী জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার গুলোও ব্যবহার করা সম্ভব।

শেষকথা

উপরোক্ত পদ্ধতিতে খুব সহজেই আপনি আপনার ১০ সংখ্যার NID থেকে ১৩ ও ১৭ সংখ্যার এনআইডি বের। এর জন্য আপনার উপজেলা নির্বাচন অফিসে কিংবা অন্য কোথাও যেতে হবে না। শুধুমাত্র গুগল প্লে স্টোর থেকে একটি মোবাইলে অ্যাপ্লিকেশন ইন্সটল করলেই আপনি তথ্যটি চেক করে নিতে পারবেন। আশাকরি, সম্পূর্ণ আলোচনাটি বুঝতে পেরেছেন। ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *