ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন করুন| NID Correction

আপনার ভোটার আইডি কার্ডের কোন তথ্য ভুল থাকলে এবং সংশোধন করতে চাইলে, জেনে নিন ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম, কি কি লাগবে, ফি ও কতদিন সময় লাগবে সে সম্পর্কে।

নানা কারণে আইডি কার্ডের তথ্য পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় এনআইডির তথ্যের সাথে পাসপোর্টের বা সার্টিফিকেটের তথ্যের অমিল থাকে। এর ফলে শিক্ষা ক্ষেত্রে/ চাকরি পেতে/ বিদেশ যেতে সমস্যা হয়। তবে আপনার কাছে যদি সঠিক তথ্যের আলোকে উপযুক্ত প্রমাণ থাকে তাহলে NID Correction করে তথ্য সংশোধন করতে পারবেন। ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন করার বিস্তারিত প্রক্রিয়াটি জেনে নিন এখানে।

(বি:দ্র: আইডি কার্ডের একটি তথ্য শুধুমাত্র একবারই সংশোধন করা যাবে। তাই, কোন তথ্য সংশোধনের পূর্বে ভেবে নিবেন। তথ্য সংশোধন করার সময়ও সঠিক বানান ও সঠিক তথ্য লেখার চেষ্টা করবেন এবং উপযুক্ত ডকুমেন্ট আপলোড করবেন।)

একনজরে আলোচনার সূচীপত্র

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন| NID Correction

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য, nidw.gov.bd -এই লিংকে ভিজিট করুন। তারপর এনআইডি নাম্বার, জন্ম তারিখ ও ঠিকানা দিয়ে রেজিস্টার করুন। তারপর লগইন করে NID ড্যাশবোর্ড থেকে প্রোফাইল অপশনে গিয়ে এডিট বাটনে ক্লিক করুন। কাঙ্ক্ষিত তথ্য পূরণ করুন এবং বিকাশের মাধ্যমে সংশোধন ফি পরিশোধ করুন। সর্বশেষে, উপযুক্ত ডকুমেন্ট আপলোড করে আবেদন সাবমিট করুন।

আপনার সাবমিট করা কাগজপত্র গুলো সংশোধিত তথ্যের জন্য উপযুক্ত হলে আবেদন অনুমোদন করা হবে। তারপর ক্যাটাগরি অনুযায়ী তথ্য সংশোধন সম্পন্ন হতে ভিন্ন ভিন্ন সময় লাগতে পারে। সংশোধন সম্পন্ন হওয়ার পর সংশোধিত কপি অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম ২০২৪

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে

NID সংশোধন করার নিয়ম অনুযায়ী, আইডি কার্ড সংশোধনের বিষয়ের উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ভিন্ন ভিন্ন হয়। আইডি কার্ডের কোন তথ্য সংশোধন করতে কি কি কাগজপত্র লাগবে তা এখানেই জেনে নিন:

সংশোধনের বিষয়বস্তু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র 
নাম সংশোধন
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট -JSC, SSC, HSC বা সমমান।
  • অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ/ পাসপোর্ট/ ড্রাইভিং লাইসেন্স।
  • বিবাহিত হলে কাবিননামা।
  • এমপিও সিট/ সার্ভিস বহিকমপক্ষে ২ সন্তানের এনআইডি কার্ডের কপি। (যেখানে পিতা/ মাতার নাম শুদ্ধ আছে এমন)

 

এছাড়াও সম্পূর্ণ নাম পরিবর্তন করতে আরো প্রয়োজন-

  • নোটারি পাবলিক কর্তৃক এফিডেভিট।
  • উপজেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তার তদন্ত প্রতিবেদনের কপি।
জন্ম তারিখ সংশোধন/ বয়স সংশোধন 
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট -JSC, SSC, HSC বা সমমান।
  • অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ/ পাসপোর্ট/ ড্রাইভিং লাইসেন্স।
  • বিবাহিত হলে কাবিননামা।
  • এমপিও সিট/ সার্ভিস বহি।
  • কর্মস্থলের কর্তৃপক্ষের অফিস স্মারক সম্মিলিত প্রত্যয়ন।

 

এছাড়াও, জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে-

  • চেয়ারম্যান কর্তৃক পারিবারিক সনদ।
  • সকল ভাই-বোনদের এনআইডি কার্ডের কপি।
  • সিভিল সার্জন কর্তৃক বয়স প্রমাণের প্রত্যয়ন ইত্যাদি প্রয়োজন হতে পারে।
পিতা/ মাতার নাম সংশোধন
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট -JSC, SSC, HSC বা সমমান।
  • অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ/ পাসপোর্ট/ ড্রাইভিং লাইসেন্স।
  • পিতা/ মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র।পিতা/ মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ।
  • কর্মস্থলের কর্তৃপক্ষের অফিস স্মারক সম্মিলিত প্রত্যয়ন।
  • ওয়ারিশ সনদ (পিতা/মাতার সকল সন্তানদের জন্মের ক্রম অনুসারে ও জাতীয় পরিচয়পত্র তথ্য উল্লেখ করে প্রত্যয়ন)।
  • সকল ভাই-বোনদের এনআইডি কার্ডের কপি।
এনআইডি কার্ডের স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন
  • জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি।
  • সঠিকভাবে পূরণকৃত, ভোটার এলাকা পরিবর্তন ফরম (ভোটার মাইগ্রেশন ফরম- ১৩) যে এলাকায় স্থানান্তর হতে চাচ্ছেন তার ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রত্যয়ন।
  • বর্তমান এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান থেকে ভোটার স্থানান্তর প্রত্যয়ন।
  • ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি)।
  • উপজেলা নির্বাচন অফিসের প্রতিবেদন।
পেশা যুক্ত/ পরিবর্তন
  • জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি।
  • ইমপ্লয়ার আইডি কার্ড।
  • কর্মস্থলের কর্তৃপক্ষের অফিস স্মারক সম্মিলিত প্রত্যয়ন।
শিক্ষাগত যোগ্যতা পরিবর্তন
  • জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি।
  • সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ পত্র।
  • সরকার অনুমোদিত নোটারি পাবলিক কর্তৃক এফিডেভিট।

আরও পড়ুনঃ নতুন ভোটার নিবন্ধন করতে কি কি লাগে ২০২৪

অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম হলো:

  • প্রথমে, nidw.gov.bd এই লিংকে ভিজিট করুন।
  • তারপর NIDW ওয়েবসাইটে একাউন্ট রেজিস্টার করে NID ড্যাশবোর্ডে যান।
  • ‘বিস্তারিত প্রোফাইল’ অপশনে গিয়ে ‘এডিট’ বাটনে ক্লিক করুন।
  • যেই তথ্য সংশোধন করতে চান তার পাশের বক্সে টিক দিয়ে কাঙ্খিত সংশোধিত তথ্যটি লিখুন
  • তারপর আপনার দেওয়া তথ্য রিভিউ করে বিকাশের মাধ্যমে NID Service ফি পরিশোধ করুন।
  • সর্বশেষে, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করে আবেদনের তথ্য পুনরায় নিশ্চিত করে সাবমিট করুন।

এসকল ধাপগুলো সম্পন্ন করার মাধ্যমে আপনি নিজেই অনলাইনে আপনার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নিচে এই সকল ধাপগুলো বিস্তারিত ভাবে ছবিসহ দেখানো হলো।

তবে আবেদন শুরুর পূর্বে আপনি যেই ডকুমেন্টগুলো প্রমাণপত্র হিসেবে আপলোড করবেন, স্ক্যান করে এডিট করে নিন। এবার নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

ধাপ ১: NIDW ওয়েবসাইটে রেজিস্টার করুন 

NID Correction করার জন্য বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে রেজিস্টার/ লগইন করতে হবে। এর জন্য সরাসরি ভিজিট করুন- https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ -এই লিংকে। লিংকের ওয়েব পেজটি ওপেন হলে রেজিস্টার অপশন দেখতে পাবেন। একটু নিচে স্ক্রল করলেই লগইন অপশন পাবেন। আপনি যদি পূর্বেই NIDW ওয়েবসাইটে রেজিস্টার করে থাকেন, তাহলে ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড লগইন করুন।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন

তবে কোন অ্যাকাউন্ট না থাকলে কিংবা ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড মনে না থাকলে রেজিস্টার লেখাতে ক্লিক করে রেজিস্ট্রেশন করুন।

নতুন একাউন্ট রেজিস্টার করতে,

  1. আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর ও জন্ম তারিখ লিখুন। তারপর ক্যাপচা পূরন করে ‘সাবমিট’ করুন।
  2. আপনার NID Card অনুযায়ী বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানার বিভাগ, জেলা ও উপজেলা সিলেক্ট করুন।
  3. এবার মোবাইল নাম্বার দিয়ে OTP ভেরিফাই করুন।
  4. মোবাইলে NID Wallet অ্যাপ ডাউনলোড করে, ওয়েবপেজে আসা QR Code স্ক্যান করে ফেইস ভেরিফাই করুন।
  5. একটি পাসওয়ার্ড সেট করে (ঐচ্ছিক), রেজিস্টার করুন।

আরও পড়ুনঃ ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড ২০২৪ | NID Card Download.

ধাপ ২: বিস্তারিত প্রোফাইলে যান

NIDW ওয়েবসাইটে নতুন একাউন্ট রেজিস্টার কিংবা লগইন করার পর, একটি ড্যাশবোর্ড ওপেন হবে। এখান থেকে আপনার ছবির নিচের ‘বিস্তারিত প্রোফাইল’ অথবা ড্যাশবোর্ডের ‘প্রোফাইল’ অপশনে ক্লিক করুন।

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন

ধাপ ২: জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করুন

বিস্তারিত প্রোফাইল অপশনে, একটি এনআইডি কার্ডের ব্যক্তিগত তথ্য, অন্যান্য তথ্য ও ঠিকানার তথ্য থাকবে। এখানে ওয়েব পেইজের ডানদিকের ‘এডিট’ লেখাতে ক্লিক করুন। আপনি আপনার এনআইডি কার্ডের যে তথ্যগুলো সংশোধন করতে চাচ্ছেন, সেই তথ্য কোন ক্যাটাগরির (ব্যক্তিগত, অন্যান্য, ঠিকানা) তা সিলেক্ট করুন।

এন আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন

আপনার আইডি কার্ডে আগে যে তথ্যগুলো ছিল সেগুলো এখানে দেখানো হবে। প্রতিটি তথ্যের পাশেই একটি চেকবক্স থাকবে। সেই চেকবক্সে টিক দিলে নতুন তথ্য লেখার ঘর আসবে।

সে নতুন ঘরে আপনার কাঙ্খিত তথ্যটি লিখুন। এভাবে যেই তথ্যগুলো সংশোধন করতে চান, সেই সবগুলো পূরণ করুন। তারপর উপরের ডান দিকের ‘পরবর্তী’ লেখাতে ক্লিক করুন।

আইডি কার্ড সংশোধন

ধাপ ৩: এনআইডি কার্ড সংশোধনের তথ্য রিভিউ করুন

আপনি যে সকল তথ্যগুলো সংশোধনের জন্য নতুন তথ্য যুক্ত করেছেন, সেগুলো পূর্ববর্তী তথ্য ও কাঙ্ক্ষিত সংশোধিত তথ্য এখানে দেখাবে। এখানে, কোন তথ্য এডিট করতে চাইলে উপরের ডান দিকের ‘পেছনে’ লেখাতে ক্লিক করবেন। আপনার দেওয়া তথ্য গুলো এবং সেগুলোর বানান ঠিক থাকলে উপরের ‘পরবর্তী’ লেখাতে ক্লিক করুন।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন

ধাপ ৪: ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি পরিশোধ

সংশোধনী তথ্য রিভিউ করার পরবর্তী ধাপে NID Correction করার নির্ধারিত ফি অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি পরিশোধ

আপনি বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায় ইত্যাদি মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে NID card correction fee দিতে পারবেন।

  • আপনার NID Number লিখুন।
  • পরবর্তী ধাপে, সংশোধন ফি ২৩০ টাকা দেখাবে।
  • এবার আপনার বিকাশ PIN Code লিখুন।
  • পরবর্তী ধাপে গিয়ে ট্যাপ করে ধরে রেখে ফি পরিশোধ সম্পন্ন করুন।
  • সংশোধন ফি পরিশোধের পর NIDW ওয়েবসাইটের পরবর্তী পেজে যেতে পারবেন।

    ধাপ ৫: আইডি কার্ড সংশোধনের কাগজপত্র আপলোড

    আপনি আইডি কার্ডের যে তথ্য সংশোধন করবেন, সেই তথ্যের ভিত্তিতে উপযুক্ত প্রমাণপত্র আপলোড করতে হবে। আবেদনের তথ্যের সাথে যদি প্রমাণপত্রের মিল না থাকে তাহলে আবেদন এপ্রুভ করা হবে না। উপরে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে, তার একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে আপনার সংশোধনী তথ্যের ভিত্তিতে সঠিক ডকুমেন্টটি বাছাই করে আপলোড করুন।

    nid card correction online - আইডি কার্ড সংশোধন

    ধাপ ৬: NID Correction আবেদন সাবমিট করুন

    এবার, আপনার আবেদনকৃত তথ্যের একটি বিস্তারিত ওয়েব পেজ দেখতে পাবেন। আবেদনটি সাবমিট করার পূর্বে সকল তথ্য সঠিক আছে কিনা পুনরায় রিভিউ করে নিন। সব তথ্য ঠিক থাকলে উপরের ডান দিকের ‘নিশ্চিত করুন’ লেখাতে ক্লিক করুন।

    জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন

    ব্যাস, আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করার অনলাইন আবেদন সম্পন্ন হবে।

    ধাপ ৭: ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফরম PDF ডাউনলোড 

    ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন ফরম pdf ডাউনলোড

    NID card correction application সাবমিট করার পর ড্যাশবোর্ডে চলে যাবেন। সেখান থেকে আবারও প্রোফাইল লেখাতে ক্লিক করুন। এবার বিস্তারিত প্রোফাইল পেইজে ‘আপনার একটি অ্যাপ্লিকেশন পেন্ডিং রয়েছে’ -এরকম লেখা দেখাবে। পাশে থাকা ডান দিকের ‘ডাউনলোড’ লেখাতে ক্লিক করলেই আপনার এনআইডি সংশোধন আবেদন বিস্তারিত তথ্যবহুল pdf ডাউনলোড হয়ে যাবে। পরবর্তীতে এটি প্রয়োজন হতে পারে। তাই Save করে রেখে দিন।

    আরও পড়ুনঃ ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার নিয়ম ২০২৪

    উপজেলা নির্বাচন অফিসে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন

    অনলাইনে আইডি কার্ডের সকল তথ্য সংশোধন করা যায় না। তাছাড়া অনেকেরই অনলাইনে আবেদন করার মতো অভিজ্ঞতা থাকে না। সে ক্ষেত্রে স্থানীয় উপজেলা নির্বাচন অফিসে সরাসরি আবেদন করেও এনআইডি কার্ড সংশোধন করা যাবে। এছাড়াও উপজেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করার আরো কিছু কারণ রয়েছে। যেমন:

    • অনলাইনে নিজের/ পিতা-মাতার নামের অংশ পরিবর্তন করা গেলেও, সম্পূর্ণ নাম পরিবর্তন করতে চাইলে উপজেলা নির্বাচন অফিসের প্রতিবেদন জমা দিতে হয়।
    • অনলাইনে ভোটার এলাকা সংশোধন করা যায় না।
    • অনলাইনে স্থায়ী ঠিকানা সংশোধন করা যায় না।

    তাই সরাসরি স্থানীয় উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে সংশোধনের ক্যাটাগরি অনুযায়ী আবেদন ফরম নিয়ে পূরণ করুন। তারপর আবেদনের তথ্যের সাথে মিল রেখে প্রমাণ স্বরূপ কাগজপত্র সহ আবেদন জমা দিন। এরপর অনুমোদিত ব্যাংকের মাধ্যমে সংশোধন ফি পরিশোধ করুন। আবেদন অনুমোদিত হলে তথ্য সংশোধন হবে।

    আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ সংশোধন

    ভোটার আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ ভুল থাকলে তা সংশোধন করা কঠিন। তবে উপযুক্ত কাগজপত্র থাকলে এবং জন্ম তারিখের সংশোধনের ব্যবধান কম হলে, তা সংশোধন করা সম্ভব। আইডি কার্ডের জন্ম তারিখের সাথে অনেক সময় আমাদের পাসপোর্ট বা সার্টিফিকেটের জন্ম তারিখের অমিল থাকে।

    এটি সংশোধন করার জন্য উপরোক্ত নিয়মে অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। এর জন্য NIDW ড্যাশবোর্ডের বিস্তারিত প্রোফাইলের এডিট অপশনে গিয়ে ব্যক্তিগত তথ্যের ক্যাটাগরিতে যান। তারপর ‘জন্ম তারিখ’ অপশনের পাশের বক্সে টিক দিন এবং সঠিক জন্ম তারিখ লিখুন। তারপর বাকি ধাপগুলো অনুসরণ করে আবেদন সম্পন্ন করুন।

    আরও পড়ুনঃ আইডি কার্ডের ছবি পরিবর্তন করুন নিজেই

    ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন – NID Correction BD

    অনলাইনেই ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করা যায়। এক্ষেত্রে নামের আংশিক বা ভুল বানান ঠিক করতে উপরোক্ত নিয়মে আবেদন করুন। তবে সম্পূর্ণ নাম সংশোধন করতে চাইলে, সরাসরি উপজেলা নির্বাচন অফিসে উপযুক্ত প্রমাণপত্র সহ উপস্থিত হয়ে যোগাযোগ করুন।

    সম্পূর্ণ নাম বা মূল নাম সংশোধন করা ‘গ’ ক্যাটাগরির সংশোধনী বিষয়বস্তু। এটি এপ্রুভ করতে বিভাগীয় নির্বাচন অফিসার দায়িত্বরত থাকে। তাই, উপযুক্ত প্রমাণ না থাকলে আবেদন বাতিল হবে।

    ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি

    Nid correction করার জনন নির্দিষ্ট হারে ফি দিতে হয়। সংশোধন ফি বিকাশ, নগদ, রকেট ইত্যাদি মাধ্যমে দেওয়া যায়। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ফি এর তালিকা নিম্নরূপ:

    সংশোধনের বিষয়বস্তু নির্ধারিত ফি 
    ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন২৩০ টাকা
    অন্যান্য তথ্য সংশোধন১১৫ টাকা
    ব্যক্তিগত ও অন্যান্য – উভয় তথ্য সংশোধন৩৪৫ টাকা
    রিইস্যু আবেদন৩৪৫ টাকা 

    এনআইডি সংশোধনের ক্ষেত্রে,

    • প্রথমবার আবেদন ফি ২৩০ টাকা।
    • দ্বিতীয়বার আবেদন ফি ৩৪৫ টাকা।
    • তৃতীয়বার আবেদন করলে ফি ৪৬০ টাকা।

    ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে

    এনআইডি কার্ড সংশোধনের ক্যাটাগরি অনুযায়ী সময় কম-বেশি লাগে। তবে সামগ্রিকভাবে ৭-৪৫ কার্যদিবস সময় লাগতে পারে। নিচের বিভিন্ন ক্যাটাগরির তথ্য সংশোধনীর জন্য প্রয়োজনীয় কার্যদিবসের তালিকা দেওয়া হলো:

    সংশোধনের

    ক্যাটাগরি

    এপ্রুভ করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাপ্রয়োজনীয় কার্যদিবস
    উপজেলা নির্বাচন অফিসার৭ দিন
    জেলা নির্বাচন অফিসার১৫ দিন 
    আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার৩০ দিন 
    বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের মহাপরিচালক৪৫ দিন

    জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন চেক করার নিয়ম

    এনআইডি কার্ড সংশোধন আবেদন করার পর আবেদনটি এপ্রুভ হয়েছে কিনা তা জানার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যদিও আবেদন এপ্রুভ হলে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে সংশোধন সম্পন্ন হয়েছে কিনা তা জানতে services.nidw.gov.bd গিয়ে পুনরায় লগইন করুন। তারপর ড্যাশবোর্ড থেকে প্রোফাইলে গেলে আপনার সংশোধিত তথ্য দেখতে পাবেন।  ড্যাশবোর্ডের ডাউনলোড লেখাতে ক্লিক করলে আইডি কার্ডের সংশোধিত কপিটি ডাউনলোড হয়ে যাবে।

    আরও পড়ুন:ভোটার আইডি কার্ড চেক ২০২৪ | NID Card Check.

    উপরোক্ত প্রক্রিয়ায় আপনি নিজেই ঘরে বসে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন করতে পারবেন। তবে যেহেতু একটি তথ্য শুধুমাত্র একবারই সংশোধন করা যায়, তাই সতর্কতার সাথে সংশোধনের আবেদন করুন।

    FAQ’s

    আইডি কার্ডের বয়স বাড়ানোর যাবে কি?

    আইডি কার্ডের বয়স কমানো বা বাড়ানো যায় না। তবে উপযুক্ত প্রমাণপত্র থাকলে সঠিকভাবে আবেদনের মাধ্যমে বয়স সংশোধন করতে পারবেন।

    এনআইডি কার্ডের ছবি পরিবর্তন করবো কিভাবে?

    জাতীয় পরিচয় পত্রের ছবি পরিবর্তন করার জন্য আপনার ভোটার এলাকার নির্বাচন অফিসে যান। তারপর এনআইডি সংশোধন ফরম-২ পূরণ করে, বিকাশের মাধ্যমে ২৩০ টাকা ফি দিন। তারপর উপজেলা নির্বাচন অফিসে ডাকা হলে নতুন ছবি ও স্বাক্ষর দিন। কিছুদিন পর সংশোধিত আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।

    জাতীয় পরিচয়পত্র কতবার সংশোধন করা যায়?

    আইডি কার্ডের রক্তের গ্রুপ, ঠিকানা, স্বামী/স্ত্রীর নাম একাধিকবার সংশোধন করা যায়। এছাড়া অন্যান্য তথ্য গুলো শুধুমাত্র একবারই সংশোধন করতে পারবেন।

    এনআইডি কার্ডের রক্তের গ্রুপ যুক্ত/পরিবর্তন করবো কিভাবে?

    এনআইডি কার্ডে রক্তের গ্রুপ যুক্ত/পরিবর্তন করতে অনলাইনে সংশোধন আবেদন করুন। এক্ষেত্রে প্রমাণপত্রের ডকুমেন্ট হিসেবে রক্তের গ্রুপ টেস্টের রিপোর্ট জমা দিবেন।

    2 thoughts on “ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন করুন| NID Correction”

    1. Pingback: ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড ২০২৪ | NID Card Download

    2. Pingback: স্মার্ট কার্ড স্ট্যাটাস চেক ২০২৪ | Smart Card Status Check

    Leave a Comment

    Your email address will not be published. Required fields are marked *