জন্ম নিবন্ধন সনদ (Birth Certificate Bangladesh) একজন ব্যক্তির নাগরিকত্বের প্রথম নথিপত্র। এর মাধ্যমে দেশের সকল নাগরিক সমঅধিকার ভোগ করতে পারে। শিশুর জন্মের পর জন্ম নিবন্ধন করার অধিকার সম্পর্কে জাতিসংঘের শিশু সনদে (Convention on the Rights of the Child- CRC) স্পষ্টভাবে উল্লেখিত রয়েছে। তাই প্রতিটি দেশেই শিশুর জন্মের পর তার নিবন্ধন নিশ্চিত করতে হয়।
বাংলাদেশে ২০০৪ সাল থেকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন প্রণীত হয়েছে। ২০১৩ সাল পর্যন্ত দেশের প্রায় শতভাগ মানুষ জন্ম নিবন্ধনের আওতায় এসেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে একটি শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে birth certificate করা বাধ্যতামূলক।
অতি গুরুত্বপূর্ণ এই জন্ম নিবন্ধন কি, জন্ম নিবন্ধনের প্রয়োজনীয়তা, যেসব কাজে লাগে, কোথায় করতে হবে, কি কি লাগবে এবং জন্ম নিবন্ধন ফি কত টাকা তার বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন এই লেখা থেকে।
জন্ম নিবন্ধন কি (What is Birth Certificate)?
মূলত জন্মগ্রহণের পর একটি শিশুর পরিচয়বাচক তথ্য দিয়ে, সরকারি নাগরিকত্বের তালিকায় রেজিস্ট্রেশন (Birth Registration) করাই হলো জন্ম নিবন্ধন।
আরও পড়ুনঃ অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করুন নতুন নিয়মে।
বাংলাদেশের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪- এর ২৯ নং আইনে জন্ম নিবন্ধনের সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সেই সংজ্ঞানুযায়ী, জন্ম নিবন্ধন হলো- “একজন মানুষের নাম, জন্ম তারিখ, জন্মস্থান, লিঙ্গ, পিতা-মাতার নাম, পিতা-মাতার জাতীয়তা এবং স্থায়ী ঠিকানা ইত্যাদি নির্ধারিত নিবন্ধক কর্তৃক রেজিস্টারে লেখা/ কম্পিউটারে এন্ট্রি প্রদান এবং জন্ম সনদ প্রদান করা।”
২০০৪ সালের এই জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইনটিকে- জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন, শিশু অধিকার সংরক্ষণ নিশ্চিত ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে, ৩ জুলাই ২০০৬ থেকে কার্যকর করা হয়েছে। জন্ম নিবন্ধন আইনে আরো উল্লেখিত রয়েছে- বয়স, জাতি, ধর্ম কিংবা জাতীয়তা ইত্যাদি সকল নির্বিশেষে বাংলাদেশে জন্ম গ্রহণকারী প্রত্যেকটি মানুষের জন্য birth certificate করা বাধ্যতামূলক।
bdris.gov.bd ওয়েবসাইটে অনলাইনে নিবন্ধন করার পর নিবন্ধকের কার্যালয় থেকে একটি সনদ প্রদান করা হয়। এই সনদের আলোকেই একটি শিশুর নাম, বয়স ও তার জাতীয়তার স্বীকৃতি পায়। Birth certificate সকল বয়সী নাগরিকদের জন্যই একটি মৌলিক অধিকার। এই সনদ অনুযায়ী-ই একজন ব্যক্তি অন্যান্য নাগরিক পরিচয়পত্র ও সরকারি সুযোগ-সুবিধা লাভ করবে।
জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত সকল সেবা সমূহ:
জন্ম নিবন্ধন করার প্রয়োজনীয়তা|Birth Certificate Bangladesh
রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নাগরিকত্বের মর্যাদা পেতে ও সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে জন্ম সনদ থাকা বাধ্যতামূলক। একটি শিশুর প্রাথমিক সুযোগ-সুবিধা ও ভবিষ্যতে সকল সরকারি ও বেসরকারি সুবিধা ভোগ করতে জন্ম সনদ থাকতে হবে।
এই সনদের উপর ভিত্তি করে একটি শিশুকে পূর্ণাঙ্গ ও প্রতিষ্ঠিত মানুষ হিসেবে তৈরি করার জন্য সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। এটি না থাকলে রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি, মর্যাদা ও আইনি সুবিধা পাওয়া যায় না। তাই প্রতিটি বাংলাদেশি নাগরিকের প্রাথমিক পরিচয়পত্র হিসেবে birth registration করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড – Birth Certificate Download।
জন্ম নিবন্ধন যেসব কাজে লাগে
একজন বাংলাদেশী নাগরিকের জন্য জন্ম সনদ হলো জন্ম, বয়স, পরিচয় ও নাগরিকত্বের প্রাথমিক প্রমাণপত্র। ভোটার আইডি কার্ড হওয়ার আগে সকল সরকারি কর্মকান্ডেই birth certificate দেখাতে হয়। যেসব কাজে জন্ম সনদ লাগে, সেগুলো হলোঃ
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে।
- ভোটার আইডি কার্ড বা ভোটার নিবন্ধন করতে।
- শিশু শ্রম প্রতিরোধ করতে।
- পাসপোর্ট ইস্যু করার ক্ষেত্রেও ভোটার আইডি কার্ড না থাকলে জন্ম সনদের প্রয়োজন হয়।
- বিবাহ নিবন্ধন করতে বা কাবিননামায় বয়স প্রমাণের জন্য।
- বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করতে।
- বিভিন্ন সরকারি ভাতা/ অনুদান পেতে, যেমন- প্রতিবন্ধী ভাতা পেতে ভোটার আইডি কার্ডের বিপরীতে birth certificate ব্যবহার করা যায়।
- সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য আবেদন করলে পরিচয় প্রমাণের জন্য NID Card না থাকলে জন্ম সনদ প্রয়োজন হয়।
- গ্যাস, পানি, টেলিফোন ও বিদ্যুৎ সংযোগ নিজের নামে পেতে।
- ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করতে।
- যেকোনো গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করতে বা লাইসেন্স পেতে।
- ১৮ বছরের কম বয়সীদের ব্যাংক হিসাব খুলতে।
- জমি ক্রয়-বিক্রয়ের সময় রেজিস্ট্রেশন করতে।
- ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের জন্য ট্রেড লাইসেন্স পেতে।
- ঠিকাদারি লাইসেন্স পেতে।
- আমদানি ও রপ্তানীকারকের লাইসেন্স পেতে।
- Tax Identification Number বা টিআইএন সার্টিফিকেট পেতে।
- আইন-আদালতে বিভিন্ন বিচারকার্য সম্পন্ন করতে।
- বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা, যেমন: প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরন, দরিদ্র শিশুদের বিনামূল্যে চিকিৎসা, খাসজমি ও জলমহল বরাদ্দ ইত্যাদি ক্ষেত্রে।
- অন্যায়ভাবে কোনো এক বা একাধিক ব্যক্তি কিংবা সমাজের কোনো গোষ্ঠি দ্বারা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বা পাচার, শোষণ ইত্যাদি যাবতীয় কার্যকলাপ থেকে মুক্তি পেতে জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন হয়।
এছাড়াও এরকম আরো অসংখ্য সরকারি ও বেসরকারি কর্মকান্ডে birth certificate ব্যবহার করে নাগরিক সেবা ভোগ করা যায়।
আরও পড়ুনঃ জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম ২০২৪।
জন্ম নিবন্ধন না থাকলে যে সকল অসুবিধা হয়
জন্ম সনদ না থাকলে একটি শিশুর বা একজন নাগরিকের সঠিক পরিচিতি নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। একইসাথে, তার বয়সের নির্দিষ্ট প্রমানপত্র থাকেনা। তাই জন্ম সনদ না থাকলে পড়তে হয় বিভিন্ন সমস্যায়। যেমন:
- জন্ম সনদ ছাড়া বিদ্যালয়ে ভর্তি করানো যায় না। প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে বয়সের প্রমানপত্র হিসেবে জন্ম সনদ প্রদর্শন করা বাধ্যতামূলক।
- Birth certificate ছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র/ NID Card এবং পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা যায়না।
- বিবাহ রেজিস্ট্রার করা যায়না।
- সেই ব্যক্তির নামে জমি ক্রয়-বিক্রয় করা যাবেনা।
সকল প্রকার সরকারি ও বেসরকারি সেবা এবং সম্পদের বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত হতে পারে। কারন সে বাংলাদেশের নাগরিকত্বের প্রমানই পায়নি। এছাড়াও জন্ম সনদ যেসকল কাজে লাগে, এমন সব কাজই সম্পাদন করা সম্ভব হবেনা।
জন্ম সনদ প্রয়োজন এমন ক্ষেত্র গুলোতে কেউ যদি আপনাকে জন্ম সনদ ছাড়াই সেবা দেয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রনয়ণ করা হবে। ‘জন্ম নিবন্ধন আইন’- এর বিধান অনুযায়ী, বিধি লংঘনকারী নিবন্ধক বা ব্যক্তি ৫০০ টাকা জরিমানা অথবা ২ মাস শ্রমহীন কারাদণ্ডে বা উভয় দণ্ডেই দণ্ডিত হতে পারে।
জন্ম নিবন্ধন কোথায় করতে হয়? Birth Registration
সরকারি জনপ্রশাসন কার্যালয়ে জন্ম সনদ নিবন্ধন করতে হয়। বিগত ১ জুলাই ২০১১ তারিখ থেকে নতুন জন্ম সনদ তৈরি এবং অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন প্রক্রিয়া চালু রয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পদক্ষেপ হিসেবে বর্তমানে জন্ম সনদের সকল কার্যক্রম অনলাইনেই পরিচালিত হচ্ছে এবং সর্বসাধারণের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া উন্মুক্ত করা হয়েছে।
দেশের সকল জেলায় বিভিন্ন জনপ্রশাসন কার্যালয়ের পাশাপাশি বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসের মাধ্যমেও birth registration করা যায়। কোন শিশুর জন্মগ্রহনকে নিবন্ধিত করার জন্য নিম্নোক্ত ব্যক্তিগণ নিবন্ধক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন:
- ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
- সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অথবা সরকারিভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোন কাউন্সিলর।
- পৌরসভা কার্যালয় প্রধান কিংবা সরকারিভাবে ক্ষমতা পাওয়া অন্য কোন কাউন্সিলর।
- ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট বা সরকারিভাবে ক্ষমতা পাওয়া অন্য কোন কর্মকর্তা।
- বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত বা তার দ্বারা হস্তান্তরকৃত ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য যে, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন এলাকায় জোনাল এক্সিকিউটিভ অফিসারগণ (Zonal Executive Officer) জন্ম নিবন্ধকের দায়িত্ব পালন করে থাকে। ব্যক্তির জন্মস্থান/ স্থায়ী ঠিকানা/ বর্তমান ঠিকানা- ৩ টির যেকোন ১টি ঠিকানায় জন্ম সনদ করা যাবে।
জন্ম নিবন্ধনের জন্য যারা নিবন্ধকের নিকট তথ্য প্রেরণ করতে পারবে
নিম্নোক্ত ব্যক্তিরা জন্ম সনদের জন্য সরাসরি নিবন্ধকের কার্যালয়ে তথ্য প্রদান করতে পারে:
- গ্রাম পুলিশ।
- ইউনিয়ন পরিষদের সচিব বা অন্যান্য সদস্য।
- পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর।
- ইউনিয়ন পরিষদ/ পৌরসভা/ City Corporation/ ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় নিয়োজিত থাকা কোন স্বাস্থ্যকর্মী ও পরিবার কল্যাণকর্মী।
- বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক কাজে নিয়োজিত থাকা মাঠকর্মী।
- জেলখানায় শিশু জন্মগ্রহন করলে জেল সুপার বা জেলার।
- পরিত্যক্ত কোন শিশুর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
- নিবন্ধক কর্তৃক নিয়োজিত অন্য কোনো কর্মকর্তা।
এছাড়াও শিশুর অভিভাবক নিজেই অনলাইনে আবেদন করে এসকল ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে জন্ম সনদ সংগ্রহ করতে পারবে।
জন্ম নিবন্ধন করতে যা যা লাগে|Birth Certificate Bangladesh
জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করতে মূলত-
- ইপিআই (EPI) টিকা কার্ড/ হাসপাতালের ছাড়পত্র,
- বাড়ির কর পরিশোধের রশিদ,
- পিতা-মাতা/ অভিভাবকের একটি সচল মোবাইল নাম্বার প্রয়োজন হয়।
আরও পড়ুনঃ নতুন জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে ২০২৪।
এছাড়াও নিবন্ধনকারীর বয়সের উপর ভিত্তি করেও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ভিন্নতা দেখা যায়। যেমন:
(১) শিশুর বয়স ০ থেকে ৪৫ দিন হলে:
- ইপিআই (EPI) টিকা কার্ড/ হাসপাতালের ছাড়পত্র,
- বাড়ির কর পরিশোধের রশিদ,
- অভিভাবকের একটি সচল মোবাইল নাম্বার,
- পিতা মাতার আইডি কার্ড (ঐচ্ছিক)
- পিতা মাতার অনলাইন জন্ম সনদ (ঐচ্ছিক)।
(২) শিশুর বয়স ৪৬ দিন থেকে ৫ বছর পর্যন্ত হলে:
- ইপিআই (EPI) টিকা কার্ড/ হাসপাতালের ছাড়পত্র,
- বাড়ির কর পরিশোধের রশিদ,
- অভিভাবকের একটি সচল মোবাইল নাম্বার,
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের প্রত্যয়নপত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
(৩) বয়স ৫ বছরের বেশি হলে:
- বয়স প্রমাণের জন্য সরকারি চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যায়ন পত্র (এমবিবিএস বা তদূর্ধ্ব ডিগ্রিধারী),
- পিতা-মাতার ডিজিটাল জন্ম সনদ বা NID Card এর কপি (যদি থাকে),
- PSC/ JSC/ SSC ইত্যাদি শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট, অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়ন পত্র।
- পিতা-মাতার স্থানীয় ঠিকানার কর পরিশোধের রশিদ,
- অভিভাবকের একটি সচল মোবাইল নাম্বার।
উপরোক্ত কাগজপত্র গুলো থাকলেই অনলাইনে বা সরাসরি জনপ্রশাসন কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে জন্ম সনদের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে কি কি লাগে ২০২৪।
জন্ম নিবন্ধন করার নির্ধারিত ফি
বাংলাদেশে ২০১০ সালের জুন মাস পর্যন্ত বিনামূল্যে জন্ম সনদ করা হতো। ২০১০-২০১১ অর্থবছরের শুরু থেকে নির্দিষ্ট বয়সের পর নিবন্ধনের জন্য ফি আদায় করা হয়।
বর্তমানে birth certificate করার ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত ফি নির্ধারন করা হয়েছে:
- শিশুর বয়স ০ থেকে ৪৫ দিন হলে, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে জন্ম সনদ করা যায়।
- শিশুর বয়স ৪৬ দিন থেকে ৫ বছর হলে, ২৫ টাকা ফি দিতে হয়।
- শিশুর বয়স ৫ বছরের বেশি হলে, ৫০ টাকা ফি দিতে হয়।
অন্যদিকে, বিদেশে অবস্থানরত কোন বাংলাদেশী দূতাবাস থেকে শিশুর জন্ম সনদ করতে চাইলে, নিম্নোক্ত ফি দিতে হয়:
- শিশুর বয়স ০ থেকে ৪৫ দিন হলে, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে birth registration করা যায়।
- শিশুর বয়স ৪৬ দিন থেকে ৫ বছর হলে, ১ মার্কিন ডলার ফি দিতে হয়।
- শিশুর বয়স ৫ বছরের বেশি হলে, ১ মার্কিন ডলার ফি দিতে হয়।
শেষকথা
উপরোক্ত আলোচনা থেকে, জন্ম সনদ কি এবং এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অনুধাবন করা যায়। বর্তমানে জন্ম সনদ তৈরীর প্রক্রিয়াও সহজ করা হয়েছে। তাই আপনার সন্তানের বা প্রতিবেশী ও অভিভাবকহীন শিশুদের জন্ম নিবন্ধনের জন্য আপনি সহজেই আবেদন করতে পারেন।
আমি Nidbdris.info ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা এবং একজন প্রফেশনাল কন্টেন্ট রাইটার। বাংলাদেশের নাগরিক সেবা ও ই-সেবা সম্পর্কে দীর্ঘদিনের লেখালেখির অভিজ্ঞতা থেকে, এই ওয়েবসাইটে NID Card, e-Passport, Visa, Birth Certificate সম্পর্কিত টিউটোরিয়াল, দিকনির্দেশনা, ও সরকারি নোটিশ প্রকাশ করে থাকি।